অক্টোবর ৬, ২০২২
কয়রায় গৃহহীনদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপদ আবাসন
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার কয়রায় গৃহহীন পরিবারের জন্য বিদেশী অর্থায়নে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন আবাসন প্রকল্প। এ প্রকল্পে গৃহহীন ৪০ পরিবারের জন্য আলাদা পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সাথে প্রয়োজনীয় সকল নাগরিক সুবিধাসহ গ্রহন করা হয়েছে কর্মমুখি পরিকল্পনা। ফলে নিরাপদ আবাসনের পাশাপাশি স্বাবলম্বি হয়ে উঠবেন অসহায় ৪০টি পরিবার। কয়রা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্বে সুন্দরবন সংলগ্ন বতুলবাজার গ্রামে এ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে। ‘কুয়েত সোসাইটি ফর রিলিফ’ নামে একটি বিদেশী সংস্থার আর্থিক সহযোগীতায় প্রায় ৩ একর জমিতে এ আবাসন প্রকল্পের কাজ প্রায় সমাপ্তীর পথে। অল্প সময়েে মধ্যে এটি বসবাসের জন্য উদ্বোধন করা হবে। প্রকল্পের প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটির তত্ববধায়ক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হাসান সরদার জানান, এলাকায় এ ধরনের প্রকল্প এই প্রথম। তার বড় ভাই এস এম মমতাজুল ইসলাম এলাকার গৃহহীন মানুষের কথা বিবেচনা করে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেছে। প্রকল্পটি ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সেখানে প্রত্যেক পরিবারের জন্য আলাদা দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘরে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র থাকবে। প্রতিটি ঘরে দুটি করে বারান্দা, একটি রান্না ঘর ও দুটি বাথরুম করা হয়েছে। ঘরে বসবাসের জন্য দেওয়া হবে উন্নত মানের খাট, তোশকসহ অন্যান্য জিনিষপত্র। সেই সাথে প্রকল্পের বাসিন্দাদের জন্য থাকবে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র, মসজিদ ও খেলার মাঠ। প্রকল্পের ভিতরে যাতায়াতের সব রাস্তা এর মধ্যে ইটের সোলিং করা হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রকল্পের ভিতরে ও বাইরে লাগানো হয়েছে ফুল ও ফলের গাছ। স্থানীয় উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানী বলেন, দুর্যোগ প্রবণ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহযোগীতায় এ প্রকল্পটি আসলেই প্রশংসনীয়। সরকারের পাশাপাশি দাতা সহযোগিতায় এ ধরনের প্রকল্প এলাকায় আরও গড়ে উঠলে গৃহহীন মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে আমাদের উপর চাপ কমবে। প্রকল্পের সমন্বয়কারি এস, এম মমতাজুল ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বসতবাড়ি ও জমি হারিয়ে যেসব পরিবার নিঃস্ব হয়েছে সেসব পরিবারকে পুনর্বাসনে প্রাধান্য দেওয়া হবে। এলাকার অনেক পরিবার রয়েছে তারা এখন পর্যন্ত বাঁধের ঢালে খুপরি বেধে বাস করছেন। তাদেরকেও এ প্রকল্পের সুযোগ- সুবিধার আওতায় আনা হবে। এখানে তারা নাগরিক জীবনের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেই সাথে এসব পরিবারগুলো আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি করতেও সহযোগীতা করা হবে। কয়রা উপজেলার উন্নয়ন সমন্বয় সংগ্রাম কমিটির সাধারন সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমি প্রকল্পটি ঘুরে দেখেছি। গৃহহীন মানুষকে আবাসন সুবিধার পাশপাশি স্বাবলম্বী করে তোলা হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। তাদের পরিকল্পনা দেখে বুঝতে পেরেছি অনেক ভাল একটি কাজ হয়েছে এলাকায়। এধরনের প্রকল্প আরও ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি। 8,571,947 total views, 10,652 views today |
|
|
|